অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররা নানান বাহানা তুলে দেশে অরাজকতা বিশৃঙ্খলতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। বিএনপি আন্দোলন হরতালের নামে দেশ অচল করতে চাচ্ছে। তারা দুঃস্বপ্ন দেখছে শেখ হাসিনা দেশ থেকে কবে পালাবে। আইয়ুব খান, ইয়াহিয়ার হুংকারে পালিয়ে যাননি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ হাসিনাও বিএনপির হুংকারে পালিয়ে যাবে না। একটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার দেশ পরিচালনা করছে।’
বুধবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার আস্তমা গ্রামে দেখার হাওরে মেশিনে ধানকাটা পরিদর্শন শেষে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জনগণ নির্ধারণ করবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছেড়ে দেবে কি না। ২৪ সালের নির্বাচনে দেশের মানুষ ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনবে এই বিশ্বাস আমাদের আছে। বিএনপি বারবার বলছে, আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটাবে। বিএনপির আন্দোলনে সাধারণ মানুষ যায় না। বিএনপির কর্মীরা গিয়ে লাফঝাঁপ করে। মির্জা ফখরুলরা আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। জনগণ দেশের মালিক জনগণকে আমরা স্যালুট করি। বিএনপি রাজাকারদের হুমকি-ধমকির মুখে আওয়ামী লীগ দেশ ছেড়ে পালাবে না।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, জলাভূমি হাওর হাওরই থাকবে- এটাকে কোনোভাবে ডিস্টার্ব করা যাবে না। হাওরের পানি বাধাপ্রাপ্ত হয় এমন কোনও সড়ক স্থাপনা নির্মাণ করা হবে না। হাওরের পানি প্রবাহ ঠিক রাখতে উড়াল সড়ক নির্মাণ করা হবে। মাটির বাঁধ আর হাওরে সরকার দেবে না। প্রকৃতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে হাওরবাসীকে চলতে হবে। হাওরের ফসল আবাদের সময় কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রকৃতির সঙ্গে আমরা যুদ্ধ করতে পারবো না।’
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে, হাওরের ফসল কেটে ঘরে তোলা সরকার সে ব্যবস্থা করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারে অগ্রাধিকার পান কৃষকরা। খালেদা জিয়ার আমলে আমরা দেখেছি, সার চাইতে গিয়ে কৃষক গুলি খেয়ে মারা গেছেন। আজ কৃষক ভর্তুকি মূল্যে সার বীজ পায়। আমরা হাওরের ফসল ঘরে তুলতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ফসল ঘরে ওঠার আগে পর্যন্ত তারা মাঠে থাকবেন। ২৩ এপ্রিল থেকে ঝড় জলোচ্ছ্বাস বৃষ্টিপাত হতে পারে। তাই সরকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ মাথায় রেখে বন্ধের দিনেও সবাই এখানে এসেছেন। বন্যা এবং বৃষ্টি হলে হাওরের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার ধান ২৩ তারিখের আগেই কেটে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, পুলিশ সুপার এহসান শাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিনসহ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
Leave a Reply